
পাইলস হলো মলদ্বারে ব্যথা ও ফুলে যাওয়া , রক্ত বের হওয়া এবং মলদ্বারের বাইরে কিছু অংশ ঝুলে পড়া ও ভিতরে ঢুকে যাওয়া। এটি জটিল ও কঠিন রোগের মধ্যে একটি। তা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় বিনা অপারেশনে ঔষুধের মাধ্যমে নির্মূল করা যায়। পাইলস দুই ধরনের – রক্ত অংশ ও বায়োজনিত অর্শ। রক্ত অর্শ হলো পায়খানার সঙ্গে রক্ত,হলদে কিংবা লালচে পানির মতো দুর্গন্ধযুক্ত পদার্থ বের হওয়া। বায়োজনিত অর্শ হলো পায়খানার সঙ্গে রক্ত কিংবা লালচে বা হলুদে পানি দেখা না গেলেও মলদ্বারে চুলকানি ,অসহনীয় ব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্য থাকার কারনে মলদ্বারে ফোলা থাকে।
রোগের কারণ : কোষ্ঠকাঠিন্য, বারবার সুতা কৃমির আক্রমণ , অর্জীণ রোগ, নারীদের গর্ভাবস্থায় জরায়ুতে চাপ পড়লে, সর্বদা বসে কাজ করা, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া কোষ্ঠবদ্ধতার কারণে জোরে বেগ দিয়ে মলত্যাগ , রাত জেগে দীর্ঘদিন কাজ করা কিংবা মা-বাবার থাকলে সন্তানও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
চিকিৎসা : যাদের পাইলস বড় ও বাইরে বেরিয়ে আসে, তাদের অপারেশন ছাড়াই হোমিও ঔষধের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা যায়। অপারেশনে মালদ্বারে চতুর্দিকে তিন জায়গায় কাটতে হয়। ফলে অপারেশনের পর ব্যথা হয় এবং মলত্যাগেও ব্যথা লাগে। অনেকের দেখা যায়, অনবরত সামান্য রক্ত ও পুঁজের মতো নি:সরন হয়। ক্ষতস্থান শুকাতে দেরি হয়। অপারেশনের পর মলদ্বার ছোট ও সংকুচিত হয়ে জীবন দুর্বিষহ করে তোলে। পায়খানা আটকে রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা থাকে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় রোগীর সুস্থ হওয়া সম্ভব।
পরামর্শ : পায়খানা পরিষ্কার হয়- এমন খাবারই সবার খাওয়া উচিত। শাকসবজি, আঁশ-জাতীয় খাবার ও ফলমুল বেশি খাওয়া এবং এসবগুলো ভুসির শরবত পান করলেও পেট পরিষ্কার থাকে। ছোলাবুট একটি আঁশযুক্ত খাবার। পূর্ণ বয়স্কের দৈনিক পরিমানমতো পানি পান করা উচিত। তৈলাক্ত খাবার, ,গুরুপাক, অতিরিক্ত মসলা- জাতীয় খাবার ভাজাপোড়া, চা বা কফি, ঝাল- জাতীয় ও বাসি খাবার না খাওয়াই ভালো। নিয়মিত ব্যয়াম এবং মানসিক চাপ ও রাত জাগা কমানো সম্ভব হলেও শরীর ভালো থাকে।