
মজবুত হাড় গঠনে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ’’ডি’’ এর প্রয়োজন। বয়স বাড়ালে এ দুটির চাহিদা বাড়ে। স্বাস্থ্য বিশেসজ্ঞদের মতে ৫১ বছর বয়সের বেশি নারী ও ৭১ বছর বয়সের বেশি পুরুষের জন্য ক্যালসিয়াম ১ হাজার ২০০ মাইক্রোগ্রাম ও ভিটামিন ডি ৮০০ আইইউ দরকার পড়ে। এ দুটি চাহিদামতো না হলে হাড় ক্ষয় হয়। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার দুধ ও দুগ্নজাত খাবার, ইয়োর্গাট বা ঘোল, চিজ বা পানির, ডিমের কুসুম, সামুদ্রিক মাছ , ব্রকলি, স্পাইন্যাচ, শিম, কাঠবাদাম, মটরশুটি, ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন- কাটাসহ ছোট মাছ, মাছের তেল , গরুর কলিজা, মাশরুম ইত্যাদি বেশি করে খান। প্রতিদিন নরম রোদে কিছুক্ষন দাঁড়ান।এটা শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করবে। প্রয়োজনে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি ‘র সাপ্লিমেন্ট সেবন করতেক পারেন। প্রতিদিন কিছু কিছু শারীরিক ব্যায়াম করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করেন, তাদের অস্টিওপোরোসিস হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।প্রতিদিন হাঁটুন, জগিং করুন, লিফটে না চড়ে সিঁড়ি বেয়ে উঠুন। সাঁতার কাটুন। এছাড়া টেনিসও খেলতে পারেন। ধুমপান ও অ্যালকোহল পান করলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সহজে ভেঙ্গে যায়। দেহে হরমোনের তারতম্য হলে হাড় দুর্বল হয়। মেনোপেজের পর নারীর দেহে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যায়। দীর্ঘদিন ধরে মাসিক বন্ধ থাকলেও হাড় দুর্বল হতে পারে। বয়স বাড়লে পুরুষের টেস্টস্টেরনের মাত্রা কমে গেলে হাড় দুর্বল হয়। এটি হলে দেখা দেয় অস্টিওপোরসিস। তাই বৃদ্ধ বয়সে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন। কিছু ঔষধ- প্রেডনিসলন, কটসন, প্রেডিনিসন, ডিক্সামেথাসন, অ্যান্টিডিপ্রেমেন্ট, এসএরআরআই ফ্লু অক্সিটিন, সারট্রোলিন, সিটালোপাম ক্যানসারের ঔষধ মেথোট্রিক্সেট, এসিডিটির জন্য অ্যালুমিনিয়াম যুক্ত অ্যান্টাসিড, প্রোটিন পাম্প ইনহিবিটর-ওমিপ্রাজল হাড়ের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এ ঔষধ সেবন থেকে সাবধান। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এসব ঔষধ সেবন করবেন না। কিছু রোগ-ক্রোন্স ডিজিজ, কুশিং সিন্ড্রোম, সিলিয়াক ডিজিজ, কিছু অপারেশন- পাকস্থলীর অপারেশন, ওজন কমানোর সার্জারি দেহে ক্যালসিয়াম শোষণ করার ক্ষমতা কমিয়ে হাড়কে দুর্বল করে দেয়। এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট সেবন করতে পারেন।